সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বাউফলে যত্রতত্র এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি

সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বাউফলে যত্রতত্র এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি

মোঃদেলোয়ার হোসেন বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে সরকারি নিয়ম নীতি না মেনে সর্বত্রই বিক্রি হচ্ছে জীবননাশী এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার। সাধারণ মানুষের  আশঙ্কা অনিয়মের কারণে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা । গ্যাস সিলিন্ডার বিধিমালা অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া অনধিক ১০টি গ্যাসপূর্ণ সিলেন্ডার বা ১২৫ কেজি গ্যাস মজুদ করতে পারবে এবং সিলেন্ডার মজুদ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি এবং আগুন নিয়ন্ত্রক সরঞ্জাম মজুদ রাখতে হবে। সিলিন্ডার গ্যাস স্থাপনা প্রাঙ্গণে দিয়াশলাই বা আগুন লাগতে পারে এমন কোনো বস্তু বা সরঞ্জাম রাখা যাবে না। মজুদ করা স্থানের কাছাকাছি আলো বা তাপের উৎস থাকা যাবে না। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতা সংক্রান্ত লাইসেন্স ও ছাড়পত্রসহ অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র এক্সস্টিংগুইশার মজবুত এবং ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডার কোন দ্বিচক্রযানে (মোটরসাইকেল, সাইকেল) পরিবহন করা যাবে না। কিন্তু পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার  চিত্র বলছে উল্টো কথা। নিয়মের তোয়াক্কা না করেই এই উপজেলার সর্বত্র বিক্রি হচ্ছে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার। রাস্তার পাশে খোলা স্থানে একত্রে ১০টির বেশি গ্যাস সিলিন্ডার রেখেই বিক্রি করা হচ্ছে এই ‘জীবননাশী বোমাগুলো’। দোকানগুলোতে নেই কোনো আগুন নির্বাপন ব্যবস্থা। বেশিভাগ দোকানদারই জানেন না ১০টি গ্যাসপূর্ণ সিলেন্ডার বা ১২৫ কেজি গ্যাস মজুদ রাখার জন্য দরকার সরকারি অনুমোদন। বাউফল পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ড বাংলাবাজার এলাকায় সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবসা করে আসছেন আফজাল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী। তবে এ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলেও এখন পর্যন্ত  বিস্ফোরক অধিদপ্তেরর লাইসেন্স করেননি তিনি। আফজাল হোসেনের মতো এমন আরো অনেক ব্যবসায়ী  আছেন যাদের বিস্ফোরক কিংবা ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স দূরের কথা দোকানের ট্রেড লাইসেন্সও নাই। বেশিরভাগ ব্যবসায়ীই নিয়ম না মেনে ব্যবসা করছে। নিয়ম মেনে ব্যবসা করছে এমন ব্যবসায়ী মার্কেটে নেই বললেই চলে। এমনকি লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিনা সে বিষয়েও অনেকের ধারণা নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাউফল পৌরসদরের এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী বলেন, নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব না।
বাউফল উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা পিজুস চন্দ্র দে বলেন, ‘লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করা সম্পুর্ণ বেআইনি। এসব অনিয়মের বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে একজন ব্যবসায়ীকে দন্ড প্রদান করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।